প্রকাশ: ১৮ ফেব্রুয়ারি, ২০২১ ৮:৪৪ : অপরাহ্ণ
॥মাসুদ রেজা শিশির ॥রাজকন্ঠ ডট কম
রাজবাড়ীর পাংশা উপজেলার হাবাসপুর ইউনিয়নের শাহমিরপুর বাজার এলাকায় রবিউল শেখ নামের এক যুবককে গাছের সাথে বেধে নির্যাতন করা হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। সেই সাথে ওই যুবকের গাছে বেধে রাখার ছবি ফেসবুকে ছড়িয়ে দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় নির্যাতনের শিকার রবিউল শেখের ভাই সালাম শেখ বাদী হয়ে হাবাসপুর ইউনিয়ন পরিষদের ৯ নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য মোঃ মুকুল হোসেনসহ ৭/৮ জনের নাম উল্লেখ্য করে থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছে। এ ঘটনায় একে অপরের উপর দোষ চাপাতে মরিয়া হয়ে উঠেছে কে ঘটিয়েছে এমন ঘটনা। বুধবার হাবাসপুর ইউনিয়নের শাহমিরপুর গ্রামে গিয়ে কথা হয় নির্যাতনের শিকার শহীদ আলী শেখের ছেলে রবিউল শেখের সাথে তখন রবিউল শাহমিরপুর বিজ্র এলাকায় ঘুড়াফেরা করছিল জানতে চাইলে তিনি বলেন মঙ্গলবার সন্ধ্যার আগে আমি ৫টাকা দিয়ে বুট ভাজা কিনে টাকা দিতে দেরী হওয়ায় ওই দোকানদারের সাথে কথা কাটাকাটি হয়,পরে ওই দোকানদার আমার গায়ে হাত তোলে আমিও তাকে মারছি,পরে সকলেই আমাকে সেখান থেকে নিয়ে আসে, শাহমিরপুর বাজার এলাকায় আমাকে বেধে রাখা হয়, কে বেধে রেখেছিল জানতে চাইলে বলে মেম্বার আবার বলে বাদশা (ছেলেটা মানষিক ভাবে সুস্থ নয় বলে মনে হচ্ছিল) পরে পুলিশ আসলে আমাকে ছেড়ে দিয়েছে। এদিকে এ ঘটনার নেপথে কে ছিল কার নির্দেশে এটা করা হয়েছে এ নিয়ে ওই এলাকায় চলছে নানা গুনজন। হাবাসপুর ইউনিয়ন আ.লীগের কোষাধ্যক্ষ মোঃ খোকন বিশ্বাস বলেন মুকুল মেম্বার নিজেই ওই ছেলেকে মারধর করেছে সেই সাথে গাছের সাথে বেধে রেখে নির্যাতন করেছে, আমি সেখানে গিয়ে ওই ছেলেকে ছেড়ে দিতে গেলে আমাকেও মারধর করা হয়। এ সময় আমার নিকট থাকা আমার মানি ব্যাগ ও একটি সোনার চেন ছিনিয়ে নিয়েছে তারা। অপর দিকে ইউপি সদস্য মুকুল মেম্বার বলেন আমি এ ঘটনার সাথে জড়িত নয় এলাকার মুরব্বীরা ও যারা প্রথম থেকে ছিল তাদের কাছে শুনলেই সত্য জানা যাবে, আমি বাজারের উপর বসা ছিলাম তখন বিষয়টি জানতে পেরে আমি এগিয়ে গিয়ে বুট বিক্রেতা বাহাদুরপুর এলাকার ওই লোককে সেখান থেকে পাঠিয়ে দিয়ে আসছি, তখন বাদশা ও তার ভাইরা মিলে ওই ছেলেকে বাজারের উপর বেধে রেখে নির্যাতন করেছে। আমি বালু ব্যাবসা বন্ধ করতে বলায় আমাকে ফাসাতে মরিয়া হয়ে উঠেছে তারা। স্থানীয় একাধীক ব্যক্তির সাথে কথা হলে তারা উভয় পক্ষে বিপক্ষে কথা বলেন তবে সকলেই বলেন বেধে রেখে ওই যুবককে নির্যাতন করা ঠিক হয়নি। শাহমিরপুর এলাকার কয়েকজন মুরব্বী বলেন স্থানীয় নির্বাচনকে সামনে রেখে একজন অপর জনের বিরুদ্ধে নানা অপ্রচার চালাচ্ছেন। এ ব্যাপারে পাংশা মডেল থানার সেকেন্ট অফিসার এস আই হুমায়ুন রেজা বলেন এমন ঘটনা শুনে সেখানে গিয়েছিলাম,অভিযোগ দিলে আইনানুক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।