প্রকাশ: ২১ অক্টোবর, ২০২০ ১০:০৫ : পূর্বাহ্ণ
নিজস্ব প্রতিবেদক, আশুলিয়া প্রতিনিধি।
রাজধানী ঢাকার উপকন্ঠ আশুলিয়ার ইয়ারপুর ইউনিয়নের ৬নং ওয়ার্ড। এক সময়ের অবহেলিত এই অঞ্চলটির সাধারণ মানুষের চলাচলের জন্য তেমন কোনো ভালো রাস্তা ছিলো না। ফলে চলাচলের সময় নানা ধরনের সমস্যার সম্মুখীন হতেন তারা। জনসাধারনের এই দুর্দশা আর দুরবস্থা দেখে ইয়ারপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের ত্রাণ ও সমাজ কল্যাণ বিষয়ক সম্পাদক মোঃ আবু তাহের মৃধা জনগনের সেবা করার উদ্যেশে গত ইউপি নির্বাচনে অংশগ্রহন করেন। পরে জনসাধারনের এই জননেতা নেতা নির্বাচিত হয়ে ইতোমধ্যে এই ওয়ার্ডের ৪টি নতুন, ৩২টি ফ্লাট সোলিং ও ২টি সিসি ঢালাই রাস্তাসহ বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কাজের শতকারা ৮০ ভাগ সম্পন্ন করেছেন। সেই সাথে পাল্টে দিয়েছেন এলাকার সামগ্রিক চিত্র।
বঙ্গবন্ধুর আদর্শ বুকে ধারণ করে সততা ও সাহসিকতাই নিয়ে পথ চলেছেন তিনি। আজবধি তিনি কোনো অন্যায় অবিচারের সঙ্গে আপোষ করেননি। দৃঢ় অবস্থানের কারণে নিজ নির্বাচিত এলাকায় দিনের পর দিন তার জনপ্রিয়তা বেড়েই চলেছে। সঠিক সময়ে সঠিক সিদ্ধান্ত নেওয়া সেই মেধাবী ও পরিশ্রমি মানুষটির বিকল্প হিসেবে অন্য কাউকে দেখছে না এলাকাবাসী।
মহামারি করোনা কালিন পরিস্থিতির শুরু থেকে এখনও পর্যন্ত এই ওয়ার্ডের কর্মহীন ও হতদরিদ্র মানুষের পাশে ব্যক্তিগত উদ্যোগে খাদ্য এবং স্বাস্থ্য সুরক্ষা সামগ্রী দেওয়াসহ বিভিন্ন মানবিক কর্মকান্ডের জন্য আশুলিয়ার শ্রমিকদের কাছেও বেশ জনপ্রিয়। তিনি ইউপি সদস্য নির্বাচিত হওয়ার পর থেকে তাঁর ওয়ার্ডের ভিতরে মাদক এবং সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে জিরো-টলারেন্স নীতি অবলম্বনে কাজ করে চলেছেন। তাই দল ও জন সাধারণের কল্যানে তাকে আবারও ইয়ারপুর ইউনিয়ন ৬নং ওয়ার্ডের সদস্য করা দরকার বলে মনে করেন এই ওয়ার্ডবাসী ।
শ্রমিকবান্ধব এই নেতা ২০০৪ সালে যুবলীগের সূত্র ধরে রাজনীতিতে সক্রিয় ছিলেন। তখন তিনি আশুলিয়া থানা যুবলীগের অর্থ বিষয়ক সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেন। পরে থানা শ্রমিক লীগের সাধারণ সম্পাদক ও বর্তমানে ইয়াপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের ত্রাণ ও সমাজ কল্যান বিষয়ক সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করছেন। অন্যদিকে রাজনীতির পাশাপাশি বর্তমানে তিনি নরসিংহপুর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতির দায়িত্ব পালন করছেন।
হাজী ইউনুস আলী কলেজের পরিচালক মাহরুব আলী সুমন বলেন, একজন ইউপি সদস্য হিসেবে এলাকায় তার যথেষ্ট জনপ্রিয়তা রয়েছে। আজ পর্যন্ত তিনি কোনো অন্যায় অবিচারের সঙ্গে আপোষ করেননি। তিনি একজন শ্রমিক বান্ধব নেতা। তিনি নির্বাচিত হওয়া পরে এলাকার অবকাঠামোগত ব্যাপক উন্নয়ন হয়েছে। তাই আমরা তার বিকল্প হিসেবে কাউকে চিন্তাও করছি না।
এ ব্যাপারে মোঃ আবু তাহের মৃধা বলেন, আমি আমার নির্বাচনী এলাকার মানুষকে ভালোবেসে, তাদের দুর্দশা ও দুরবস্থা দেখে নির্বাচন করেছি। জনগন আমাকে ভালোবেসে ভোট দিয়েছে আমি নির্বাচিত হয়েছে। যেহেতু জনগনের ভোটে আমি নির্বাচিত তাই সূখে-দুঃখে সব সময় তাদের সাথে থাকার চেষ্টা করেছি। তাই আমি মনেকরি আগামীতেও এলাকাবাসী আমার আমার ডাকে সারা দিবে। এলাকাবাসী যতদিন চান আমি ততদিন রাজনীতি করে যাবো।