স্টাফ রিপোর্টার ॥ রাজকন্ঠ ডট কম
এক বুক আশা নিয়ে করোনা পরিস্থিতির মধ্যেই পরিবার পরিজন নিয়ে বাচাঁর জন্য ৭০ শতাংশ জমিতে পাট বপণ করে সংসার চালানোর আশায় বুক বেধে ছিল কৃষক নজরুল ইসলাম খান। সেই আশায় বালি ঢেলে দিয়েছে এলাকার চিহ্নত রাজাকার পুত্র আজম ও তার পরিবার। পাট ক্ষেত্রের মধ্যে প্রথমে ধুনচে বুনে ফসল নষ্ট করার চেষ্টা করে। সে চেষ্ঠা ব্যার্থ হলে পূনরায় ওই জমির পাট নষ্ট করার হীন মানষিকতা নিয়ে পাটের ক্ষেতের মধ্যে আগাছা মারা কীটনাশক প্রয়োগ করে ব্যাপক ক্ষতি সাধন করেছে কৃষক নজরুল খানের। ঘটনাটি ঘটেছে রাজবাড়ী জেলার পাংশা উপজেলার মৌরাট ইউনিয়নের ধুলিয়াট গ্রামের কৃষক নজরুল খানের পরিবারের সাথে। একই এলাকার চিহ্নত রাজাকার সগিরুজ্জামান খান অরফে (জ্যোসনা খান) এর ছেলে সাইফুজ্জামান আজম,তার ভাই আকরাম হোসেন ওই কৃষক পরিবারকে ধংষ করতে মরিয়া হয়ে উঠেছে। এদিকে কৃষক পরিবারকে ক্ষতি সাধন করতে মানিকগঞ্জ ও খাগরাছড়িসহ দেশের বিভিন্ন জেলায় নামে বে নামে প্রায় ১৮টি মিথ্যা হয়রানী মূলক মামলা দিয়েছে। ইতো মধ্যে বিভিন্ন মামলা মিথ্যা প্রমানিত হয়েছে। এদিকে বৃহস্পতিবার ওই জমিতে আগাছা মারা ঔষুধ দেওয়াকে কেন্দ্র করে কথা কাটাকাটি হয়েছে।
এ বিষয়ে কৃষক নজরুল ইসলাম খান বলেন আজমের বাবা আমাদের এলাকার চিহ্নিত রাজাকার ছিল স্বাধীনতার সময় দেশের বিরোধীতা করেছে আর এখন তার ছেলেরা আমার পরিবারকে ধ্বংস করতে উঠে পড়ে লেগেছে আমার জমির পাট নষ্ট করতে প্রথমে ধুনচে বুনেছিল পাটের মধ্যে আর এখন পাট নষ্ট করতে আগাছা মারা কীটনাশ দিয়ে ক্ষতি সাধন করেছে আমি এর সুষ্ঠ বিচার চাই।
কৃষক নজরুল খানের ছেলে রাজু খান বলেন আজ আমাদের মধ্যে কথাকাটাকাটি হয়েছে তবে আমরা কেউ আকরামের গায়ে হাত দেয়নি। শুনেছি আকরাম নিজের হাত কেটে নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে।
মৌরাট ইউনিয়নের ০৬ নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য সৈয়দ আলী বলেন কৃষক নজরুল খানের জমির ফসলের ব্যাপক ক্ষতি সাধন করেছে। শুনেছি উভয়ের মধ্যে কথাকাটাকাটি হয়েছে তবে হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার মতো কোন ঘটনা ঘটেনি।
এ ব্যাপারে সাইফুজ্জামান আজম বলেন আমার ভাই ভাইকে মেরেছে এখন সে পাংশা হাসপাতালে ভর্তি রয়েছে।